Sunday, April 20, 2025
Google search engine
HomeDesignইসরাইলিদের কেন পছন্দ করতেন না রানি এলিজাবেথ?

ইসরাইলিদের কেন পছন্দ করতেন না রানি এলিজাবেথ?

ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লেমি। ১৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় লন্ডনে তারা গোপনে এ বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ডেভিড লেমির নিন্দা করেছেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদেরা। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের এ অবস্থান নতুন নয়। প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও ইসরাইলকে পছন্দ করতেন না। খবর : মিডল ইস্ট আই

ইসরাইলের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন নিজেই এ কথা স্বীকার করেছেন। বেশ কয়েক মাস আগে লন্ডনে হাইফা টেকনিয়ন ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, প্রয়াত রানি মনে করতেন প্রত্যেক ইসরাইলি ‘একজন সন্ত্রাসী নয়তো সন্ত্রাসীর সন্তান।’ শুধু তা–ই নয়, তিনি বাকিংহাম প্যালেসে কোনো ইসরাইলি কর্মকর্তাকে ঢুকতেও দিতেন না। যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম প্যালেসে রাজা বা রানিসহ রাজপরিবারের সদস্যরা থাকেন। বর্তমানে রাজা তৃতীয় চার্লস রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে এখানেই থাকেন।

ইসরাইলের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেছিলেন, রানি এলিজাবেথ ও আমাদের (ইসরাইল) মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা জটিল ছিল। রিভলিন ইসরাইলের দশম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অন্যদিকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০২২ সালে মারা যান।

সাবেক এই ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি (রানি এলিজাবেথ) আন্তর্জাতিক কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া প্যালেসের (বাকিংহাম) ভেতরে কোনো ইসরাইলি কর্মকর্তাকে ঢুকতে দিতেন না।

মাঝেমধ্যেই মনে করা হতো, রানি এলিজাবেথের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল। রানি এলিজাবেথ ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বরে মারা যান। ৭০ বছর সিংহাসনে থাকাকালে তিনি ১২০টির বেশি দেশ ঘুরেছেন। জীবদ্দশায় লাখ লাখ মাইল ভ্রমণ করলেও কখনো ইসরাইলে যাননি।

রানির মৃত্যুর পর প্রভাবশালী কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইসরাইল গ্রুপের অনারারি প্রেসিডেন্ট স্টুয়ার্ট পলক দাবি করেছিলেন, রাজপরিবারের সদস্যদের ইসরাইল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রানি এলিজাবেথের ইসরাইল সফর না করা নিয়ে ২০১২ সালে লিখেছিলেন দেশটির প্রভাবশালী সংবাদপত্র হারেৎজের সাবেক এডিটর–ইন–চিফ ডেভিড লানদাও। তিনি লিখেছিলেন, যদি তিনি (রানি) ইহুদি রাষ্ট্র সফর করতে চাইতেন অথবা তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ সেখানে যেতে চাইতেন, তাহলে তিনি জোর করে তা করতে পারতেন এবং নিজের ইচ্ছাপূরণ করতে পারতেন।

কারও কারও ধারণা, ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণার আগে ১৯৪০-এর দশকে ফিলিস্তিনে যুক্তরাজ্যের ম্যান্ডেটের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংস বিদ্রোহের কারণে ইসরাইলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণে করতেন রানি এলিজাবেথ। ১৯৮৪ সালে জর্ডান সফর করেন রানি এলিজাবেথ। এ সময় ইসরাইলি যুদ্ধবিমান দখলকৃত পশ্চিম তীরের আকাশে উড়ে যেতে দেখে ‘কতটা ভীতিকর’ ছিলেন তা নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments