
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও স্বতন্ত্র রাজনীতিবিদ আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম তার তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে সংসার না করার ঘোষণা দিয়েছেন। বগুড়া থেকে ঢাকায় ফিরেই রিয়া মনিকে ডিভোর্স দেবেন বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার এরুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে রিয়া মনির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরে এ সিদ্ধান্ত জানান হিরো আলম।
হিরো আলম অভিযোগ করেন, তার মুমূর্ষু বাবাকে হাসপাতালে রেখে এক মাস ধরে তিনি লড়াই করলেও রিয়া মনি একদিনও খোঁজ নিতে আসেননি৷ এমনকি বাবার মৃত্যুর পর মরদেহটিও দেখতে আসেননি।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হিরো আলমের পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক মারা যান। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বগুড়ার এরুলিয়ায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। ওই দিনই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রিয়া মনিকে বয়কটের ঘোষণা দেন হিরো আলম। এরপর রিয়া গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিরো আলমকে পাল্টা দায়ী করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে রিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ২০১৭ সালে আমার প্রথম স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে বগুড়ায় মামলা করেছিল। সেই মামলা থেকেই প্রথম সংসার ভেঙে যায়। পরে ২০২২ সালে দ্বিতীয় বিয়েও টেকেনি। এরপর রিয়া মনির সঙ্গে পরিচয় হয়। সে আমার প্রযোজিত সিনেমার নায়িকা ছিল। পরে আমরা বিয়ে করি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় না জানিয়ে রিয়া অন্যদের সঙ্গে কনটেন্ট করেছে। আমি বারবার নিষেধ করার পরও সে শোনেনি। সর্বশেষ আমি যখন বাবার সঙ্গে হাসপাতালে ব্যস্ত, তখন রিয়া অন্য ছেলেদের সঙ্গে শুটিং করে সেটা ফেসবুকে পোস্ট করেছে। বাবার মৃত্যুর পরও সে বা তার পরিবার কেউই সামনে আসেনি। এমন স্ত্রীর সঙ্গে সংসার রাখা যায়?
হিরো আলম বলেন, রিয়া গণমাধ্যমে আমাকে নিয়ে যেসব কথা বলেছে, সেগুলোও মানহানিকর। এসব দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকায় গিয়ে তাকে ডিভোর্স (তালাক) দেব। এ সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। রিয়া মনির বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
হিরো আলম ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ওই বছরের ২৩ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি৷ যেখানে ভোটগ্রহণের দিন তার ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।