ঢাকা মহানগর উত্তর
৫ই আাগষ্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের পর ভাটারা থানা আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহব্বায়ক ফরিদ আহমেদ টিটু ও ১৭ নং ওয়ার্ডের সাঃ সম্পাদক আঃ মান্নান দলীয় পদের প্রভাব খাটিয়ে তাদের নেতৃত্বে জগন্নাথপুর এলাকায় একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

৫ই আগস্টের পর থেকে টিটু ও মান্নান বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এলাকায় এনে শোডাউনের নামে এক আতঙ্ক তৈরি করে, বসুন্ধারা মেইন গেইটের পাশে লন্ডন পার্ক নামক একটি রেস্টুরেন্টে হামলা করে। ঐ সময় হোটেলে দুপুরের খাবার পরিবেশন হচ্ছিল। টিটু তার নিজ নেতৃত্বে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ জন বহিরাগত মাস্তান নিয়ে গিয়ে হোটেল পরিচালনায় যে ভিকটিম (ভাড়াটিয়া মালিক) ক্যাশে বসেছিল তাকে মারধর করে খাওয়া অবস্থায় কাস্টমারদের বের করে দিয়ে হোটেলে তালা বদ্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে হোটেল মালিক এর রান্না করা প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকার খাবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হোটেল মালিকের নাম মোঃ আব্দুল আজিজ। তিনি জানায় দোকানের জায়গার মালিকের সাথে একটু ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা থাকায় জায়গার মালিকের নিকট হইতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে টিটু এই ঘটনা ঘটায়। ক্ষতিগ্রস্থ জনাব আব্দুল আজিজ সাহেব তার দোকানের জামানত বাবদ ৩৫ লক্ষ টাকা ও রেস্টুরেন্ট এর ডেকোরেশন বাবদ ৪০ লক্ষ টাকা না পেয়ে ধারে ধারে ঘুরেও কোন ক্ষতিপুরন বা সমাধান পাইনি।

নিরপরাধ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে এবং মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা আদায় করে। এর মধ্যে গুলশান থানার সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোঃ খোরশেদ আলম রিপনের আপন ভাতিজা শহীদ হারেজ সড়কে বসবাসকারী মোঃ আলফির নিকট হইতে ০২ (দুই লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেয়। এভাবে আরও অনেক মানুষের নিকট বিচার করার নামে মান্নান ও তার সহযোগীরা মিলে বিভিন্ন মানুষের নিকট হইতে কারনে অকারনে টাকা পয়সা আদায় করে।

চাঁদা না পাইয়া নর্দা বাস কাউন্টার এ বাস টিকেট কে কেন্দ্র করে মান্নান বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে, কাউন্টার মাস্টার কে ব্যাপক মার্ দোর করে বসুন্ধরা এলাকায় তোলে নিয়ে যাই